সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের ‘প্রত্যক্ষ ভূমিকা’ না থাকলেও তাকে জোর করে জাতির পিতা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত চিকিৎসক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন রিজভী। রিজভী বলেন, ‘মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রাখেননি। কীভাবে যুদ্ধ হয়েছে তিনি তাও দেখেন নি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যাদের ভূমিকা নেই তাদেরকে জোর করে জাতির পিতা ও স্বাধীনকার ঘোষক বানাতে চান, তাহলে আপনার র্যাব পুলিশ দিয়ে অনেককে গ্রেফতার করাতে পারেন, মানিকদের মতো বিচারকদের দিয়ে ইতিহাসের পাতা পাল্টে দিতে পারেন, কিন্তু মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে ইতিহাস রচিত আছে আপনি হুমকি দিয়ে, আদালতের নির্দেশ দিয়ে কখনও সেটা মুছে দিতে পারবেন না।’
শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তিনি শুনেছেন এমন মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যুদ্ধে যাদের ভূমিকা নেই তাদের দিয়ে জাতির পিতা বা স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চাইলেই বানানো যায় না। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী; গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার-সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবি এম খায়রুল হক চিকিৎসার টাকা ও আইন কমিশনে চাকরির লোভে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন বাতিল করেছেন। তার এই অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে বিচার হওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা উল্লেখ করেন নাই। তিনি বলেছেন শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমেদ বলেছিলেন, ১০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তার এ বক্তব্যের জন্য খালেদা জিয়ার আগে তাজউদ্দীন আহমেদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিৎ। এরপরে আরো অনেকেই শহীদদের বিভিন্ন সংখ্যার কথা বলেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন,আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নামে হত্যা মামলা হওয়া উচিৎ। শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমার দলের একজন মারা গেলে অন্য দলের দশজন মারা হবে। তার এ বক্তব্য হত্যার হুমকির জন্য তাকে আসামি করে মামলা করা উচিৎ। আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, ড্যাবের মহাসচিব ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ সভাপতি ডা. অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, ডা. অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ডা.আব্দুস সালাম প্রমুখ।